শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

স্বাস্থ্য সচেতনতা হিসাবে আশার ২য় পর্বে আলোচনা





আশার উদ্দোগে স্বাস্থ্য সচেতনতার ইস্যু নং ২ আলোচনা ০১-০৬ ফেব্রূয়ারী,২০১৪
নিরাপদ পানি,পানিবাহিত রোগ,পানি বিশুদ্ধকরন ও আর্সেনিক দূষন প্রতিরোধ

নিরাপদ পানি.-
রোগ জীবানু এবং ক্ষতিকর পদার্থমুক্ত পানিকে নিরাপদ পানি বলে।

পানি দূষনের কারন-
যে সকল কারনে পানি দূষিত হয়ে থাকে,তা হলো
খোলা বা ঝুলন্ত পায়খানা ব্যাবহার।
মৃত পশুপাখির দেহ খালবিলে ফেলা।
মাটির নীচ থেকে উত্তোলিত পানির সাথে আর্সেনিক মিশ্রণ হয়ে।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অত্যধিক ব্যবহার।
শিল্প ও বাড়ী ঘরের বর্জ্য পদার্থ থেকে।


দূষিত পানির কারনে যে সকল রোগ হয়ে থাকে,তা হলো- ডায়রিয়া,আমাশয়,কৃমি,জন্ডিস,টায়ফয়েড,পোলিও,কলেরা,চর্মরোগ ও হেপাটাইটিস(GIB)ইত্যাদি।

ব্যক্তিগত ও গৃহস্থলীর কাজে পানির ব্যবহার-

ব্যক্তিগত কাজে ,যেমন- গোসল করা,হাত ও মুখ ধোয়া,পান করা ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা ইত্যাদি কাজে অবশ্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে।

নিরাপদ পানি পাওয়ার উr-
নল কুপের পানিই একমাত্র নিরাপদ বা বিশুদ্ধ। নলকুপের পানি পাওয়ার সুযোগ না থাকলে পুকুর,নদী,খাল-বিলের পানিকে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করে পান করতে হবে। কারন পুকুর বা ডোবায় আটকে থাকা পানিকত মারাত্মক রোগ জীবানু বংশ বিস্তার করে থাকে। তাই পানি না ফুটিয়ে পান করলে উদারাময়,আমাশয়,কৃমি,জন্ডিস টাইফয়েড এবং আরও নানাবিধ পানিবাহিত রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

পানি নিরাপদ করার উপায়-
পানি ফুটতে শুরু করার পর থেকে কমপক্ষে ১০ মিনিট আগুনে ফুটিয়ে নিতে হবে,
পানি ফিলটার দ্বারা ছাকন করে বিশুদ্ধ করা হয়,
পুকুর বা নদীর পানিকে থিতিয়ে নিলে কলসীর নীচে ময়লা জমা হয়।তারপর উপরের পানিকে অন্য পাত্রে ঢেলে নিয়ে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ করা হয়।

আর্সেনিক প্রতিরোধ করার উপায় হলো-

গভীর নলকুপ/কুয়া/নদী/পুকুরের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক নেই।যে সকল এলাকায় আর্সেনিক রয়েছে সে সব এলাকায় নলকুপের ব্যতীত অন্য পানি বিশুদ্ধ করে খাওয়া উচিত।
প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া,যেমন-লেবু,টাটকা শাক-সবজী,দেশীয় ফল-যা সহজে ও কম খরচে পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন